![]() |
প্রতিদিন রসুন খাওয়ার সুবিধা: ঠাণ্ডা-কাশি থেকে মুক্তি | স্বাস্থ্যকর টিপস |
শীত এলেই ঠাণ্ডা-কাশি যেন আমাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু জানেন কি, আপনার রান্নাঘরের একটি সাধারণ উপাদান, রসুন, হতে পারে এর কার্যকর প্রতিরোধক?
রসুনে থাকা শক্তিশালী প্রাকৃতিক উপাদান আপনার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং ঠাণ্ডা-কাশি দূরে রাখতে সহায়তা করে।
রসুনে থাকা সক্রিয় যৌগিক উপাদান অ্যালিসিনের কথা না বললেই নয়। এটি রসুন কাটার বা চূর্ণ করার সময় সক্রিয় হয় এবং শরীরকে বিভিন্ন জীবাণু ও ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে ভূমিকা রাখে।
শীতকালে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে ঠাণ্ডা এবং কাশির সমস্যা বেশি দেখা দেয়। রসুন এই জীবাণুগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে কাজ করে। এটি শ্বাসতন্ত্র পরিষ্কার রাখে এবং মিউকাস জমতে বাধা দেয়।
শুধু ভাইরাস ধ্বংস করাই নয়, রসুন শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে। শীতের ঠাণ্ডা আবহাওয়া আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়।
রসুনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরে সাদা রক্তকণিকার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি গলা ব্যথা কমায় এবং শ্বাসনালীর প্রদাহ দূর করে আরাম দেয়।
রসুনের উপকারিতা পেতে বিভিন্নভাবে এটি ব্যবহার করা যায়?
কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলে এটি সবচেয়ে ভালো কাজ করে, কারণ চিবানোর সময় অ্যালিসিন সক্রিয় হয় যা শরীরকে বিভিন্ন জীবাণু ও ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে ভূমিকা রাখে।
যারা কাঁচা রসুন খেতে পারেন না, তারা ১-২ কোয়া রসুন কুচি করে ১ কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে ৫-১০ মিনিট রেখে পান করতে পারেন।
রসুনের রস ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে দিনে ২ বার খেলে কাশি ও ঠাণ্ডা আরও দ্রুত কমে যায়।
ফুটন্ত পানিতে ৩-৪ কোয়া রসুন দিন। গরম পানির বাষ্পটি ১০-১৫ মিনিট ধরে নাক দিয়ে টানুন। এটি নাক বন্ধ ও কফ থেকে মুক্তি দেয়।
তবে রসুন ব্যবহারের সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার। অতিরিক্ত রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, কারণ এটি পেটের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
যাদের রসুনে এলার্জি আছে বা যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তাদের জন্য রসুন ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন যোগ করুন এবং শীতের ঠাণ্ডা-কাশি থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।
ট্যাগ:
রসুন দিয়ে ঠাণ্ডা সারানো, রসুন দিয়ে কাশি প্রতিরোধ, রসুনের ঘরোয়া টোটকা, রসুনের অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ,
0 মন্তব্যসমূহ